“বিদায় বেলায় মোরে দিও গো দেখা হে প্রিয় রাসূল”, সমাজে প্রচলিত বা জনপ্রিয় এই ইসলামিক গান/সঙ্গীত বা গজল বা নাশিদ এর মধ্যে ভুল-ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার
এখানে বলা হয়েছে “বিদায় বেলায় মোরে দিওগো দেখা হে প্রিয় রাসূল, তব দিদারে হব ধন্য তখন আমি শুন্য দেহ যখন লুটাবে ধুলায়,” ইত্যাদি । রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] নিজের স্ত্রী পরিবার পরিজন থেকে শুরু করে এমনকি কোন সাহাবীদের মৃত্যুর সময় স্বপ্নযোগে দেখা দিয়েছেন এবং কোন সাহাবীর মৃত্যুর সময় রাসূল[সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কে দেখে ধন্য হয়েছেন মর্মে কুরআন সুন্নায় বিশুদ্ধ কোন বর্ননা নেই এমনকি তিনি কখনো বলেও যাননি বিদায় বেলায় আমার সাক্ষাৎ কামনা কর।
বরং তিনি বলেছেন মৃত্যুর আলামত দেখা গেলে রোগীর শিয়রে বসে তাকে কালেমায়ে ত্বাইয়িবা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ পড়াতে।[মুসলিম, মিশকাত হা/১৬১৬] যাতে সে দ্রুত মুখস্থ বা স্মরণ করে নেয়। তাওহীদের স্বীকৃতবাচক এই কালেমাই তাকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন,
‘যে ব্যক্তির সর্বশেষ বাক্য হবে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ (অর্থ : নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত), সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে’।[আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৬২১]
সুতরাং এ সমস্ত ভুল-ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার যুক্ত কথা থেকে সাবধান থাকতে হবে ইং-শা-আল্লাহ ।