Advertise with Anonymous Ads
হিন্দু ধর্মের কিছু বৈজ্ঞানিক ভুল ,ব্যাখ্যা এবং দলিল বা রেফারেন্স সহ বিস্তারিত
বেদ বলছে পৃথীবি স্থিরঃ
১। “Oh Man ! He who made the trembling earth static is Indra.” (Rig Ved 2/12/12) অর্থঃ দেব ইন্দ্র পৃথিবী কে স্থির রেখেছেন।
২। “The God who made the earth stable” (Yajur Ved 32/6) অর্থঃ ঈশ্বর এই পৃথিবীকে স্থির রূপে তৈরি করেছেন।
৩। “Indra protects the wide earth which is immovable and has many forms ” (Atarv Ved 12/1/11) অর্থঃ ইন্দ্রা এই বিশাল পৃথিবীকে স্থির রেখেছেন। আমরা জানি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুড়ছে। কিন্তু বেদ বলে সূর্য ঘোড়ার গাড়ির উপর রয়েছে ও এই ঘোড়ার গাড়িটি ৭টি ঘোড়া চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং পৃথিবীর চারদিকে ঘুড়ছে।
১। “Sun is full of light and knows all the human beings, so his horses take him to sky to look at the world” (Rig Ved 1/50/1) অর্থঃ সূর্য আলোর আধার এবং সকল মানব সম্প্রদায় কে সে চেনে, তাই তার ঘোড়াগুলো তাকে বিশ্ব দেখানোর জন্য আকাশে নিয়ে গেছে।
২। “O, Bright sun, a chariot named harit with seven horses takes you to sky” (Rig Ved 1/50/8) অর্থঃ “হে, উজ্জ্বল সূর্য, হৃত নামক সাতঘোরায় চালিত রথ তোমাকে আকাশে নিয়ে গেছে।” ৩। “O, man, the sun who is most attractive, takes round of the earth, on his golden chariot through the sky and removes the darkness of the earth” (Yajur Ved 33/43) অর্থঃ হে মানব, আকর্ষনীয় সূর্য সোনার রথের উপর চড়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করছেএবং পৃথিবীর অন্ধকার দূর করছে। বেদ বলছে আকাশের পিলার আছে এবং তা গরুর উপর রয়েছেঃ
১। “The Bull has supported the sky.” (Yajur Ved: 4: 30) অর্থঃ গরু আকাশ কে ধারন করে আছে।
২। “Upon the back of bull (Aditi) I lay thee the sky’s supporter” (Yajur Ved: 14:5 ) অর্থঃ গরু অদিতির পিঠের উপর আমি আকাশকে বসিয়ে দিয়েছি। বাতাস ছাড়া কি প্রদীপ জ্বলতে পারে?
১। “A lamp kept in windless place does not shake.” (Bhagvad Gita: 6: 19) অর্থঃ বায়ু বিহীন জায়গায় প্রদীপের আলোকাঁপে না। >> বাতাস না থাকলে তো আলোই জ্বলার কথা না, কাঁপা তো দূরের কথা।
২। Arjun says to Krishna ,“The sun and moon are your eyes.” (Bhagvad Gita: 11: 19) অর্থঃ “অর্জুন কৃষনা কে বল্ল, ‘সূর্য এবং চাঁদ তোমার দুই চোখ” >> আমরা জানি সূর্য এবং চাদ কারো চোখ নয়, সূর্য হচ্ছে নক্ষত্র এবং চাঁদ পৃথিবীর উপগ্রহ।
————————————————————————
বেদ অনুযায়ী পৃথিবীর আকারঃ
পৃথিবীর আকার নিয়ে দুধরনের মতবাদ আছে, এগুলো হচ্ছে~
i.concept of Geospherical earth
ii. concept of Flat earth
এর মধ্যে i নং মতবাদটি সবচেয়ে বেশি গৃহিত মতবাদ। এ মতবাদ অনুসারে, পৃথিবীর আকার কমলা লেবুর মতো। বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ এ মতবাদতি গ্রহন করলেও, এরকম অনেক মানুষ আছে, যারা দ্বিতীয় মতটিকে গ্রহন করেছে। দ্বিতীয় মত অনুসারে পৃথিবী একটি ডিস্কের মতো এবং তার উপর দিয়ে দুটি জ্যোতিষ্ক ঘুরছে, এগুলো হলো সুর্য ও চন্দ্র। এবং পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘুরছে।
কিন্তু বেদ উপরের দুটির কোনো মতবাদই গ্রহন করে না, বরং বেদ নিজে এক মতবাদ প্রবর্তন করেছে, যা একদম অযৌক্তিক~
ঋগ্বেদ ৩/৬/৫
মহান তার কর্ম, তিনি মহান, হে অগ্নি, তুমি তোমার ক্ষমতা দ্বারা পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছো।
ঋগ্বেদ ১০/৬২/৩
তোমরা (দেবরা) সুর্যকে অনন্ত আইন দ্বারা উত্থাপিত করেছো ও মাতা পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছো।
উপরিউক্ত মন্ত্র দ্বারা প্রমানিত হয় যে, বেদ অনুযায়ী পৃথিবী চ্যাপ্টা।
ঋগ্বেদ ১০/৫৮/৩
তোমার যে আত্মা দুরবর্তী, দূরবর্তী এ চারকোনে পৃথিবী হতে;
আমরা আবার তোমার কাছে যেতে চাই, যাতে তুমি এখানে থাকতে পারো, কিছুকালের জন্য।
ঋগ্বেদ ৫/৪৭/২
পৃথিবী ও স্বর্গের চারকোনা সীমা ছাড়িয়ে প্রশস্ত পথগুলি এগিয়ে যায়।
এ মন্ত্রগুলো দ্বারা প্রতীয়মান এই যে, বেদ মতে পৃথিবী চারকোনা।
পৃথিবী যেহেতু গোল, তাই এর কোনো সীমা থাকতে পারে না। কিন্তু বেদ বলে অন্যকিছু ~
ঋগ্বেদ ৮/২৫/১৮
যিনি তার রশ্মি দ্বারা দ্যুলোক ও পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পরিমাপ করেছেন…….
ঋগ্বেদ ৭/৮৩/৩
পৃথিবীর প্রান্তগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল (তিনি আবার তা বানিয়েছেন)।
অথর্ব বেদ ১৫/৭/১
তিনি মহিমান্বিত হইয়াছেন, পৃথিবীর প্রান্তে গিয়াছেন….
অথর্ব বেদ ২০/৮৮/১
তাহার সহিত তিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্তে ছড়াইয়া পড়িয়াছেন।
এর মাধ্যমে প্রমানিত হয়ে যে, বেদ অনুযায়ী পৃথিবীর সীমা আছে।