ফাযায়েলে আমল বইয়ে বর্ণিত হাদিসের নামে বা ধর্মের নামে বা ইসলামের নামে প্রচলিত মিথ্যা বর্ণনা বা গল্প বা কাহিনী পর্ব ৩

0

Advertise with Anonymous Ads

ফাযায়েলে আমল বইয়ে বর্ণিত হাদিসের নামে বা ধর্মের নামে বা ইসলামের নামে প্রচলিত মিথ্যা বর্ণনা বা গল্প বা কাহিনী

নিচে কয়েকটা মিথ্যা/বানোয়াট বর্ণনা দেওয়া হলো । [লেখা যাতে বেশি না হয় সে কারণে আমি সব বর্ণনা কেনো ভুল সেটার ব্যখ্যা দিই নাই । যদি কারোর ব্যখ্যা প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ইনবক্সে বা কমেন্টে নক দিলেই হবে ]
১)
বালিকার থুথু নিক্ষেপে কূয়া ভরে গেল !:
মাওলানা যাকারিয়া নিজের ‘দালায়েলুল খায়রাত’ বইটি লেখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন যে, তিনি একদা সফর অবস্থায় ওযূর পানির সংকটে পড়েন। দড়ি-বালতি না থাকার কারণে তিনি কূয়া থেকে পানি উঠাতে পারছিলেন না। একটি মেয়ে এ দৃশ্য দেখে কূয়ার নিকটে এসে তাতে থুথু নিক্ষেপ করল। সাথে সাথে কূয়ার পানি কিনারা পর্যন্ত উঠে এলো। লেখক বিস্মিত হয়ে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলে সে বলল, এটি দরূদ শরীফের বরকত। এ ঘটনার পর আমি উক্ত বইটি লিখি’।
উৎস: ফাযায়েলে দরূদ শরীফ ১/৮৩ গল্প নং ৬।
[এটা মিথ্যা মনগড়া গল্প কাহিনী বা বর্ণনা যেগুলো আমাদের হাদিসের নামে বা ধর্মের নামে বা ইসলামের নামে শোনানো হয় ।]
আপনারা সবাই ভালভাবেই জানেন যে, হিজরতের পর পানির কষ্টে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম মদীনায় কিভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে জনৈক ইহুদীর নিকট থেকে ওছমান (রাঃ) বি’রে রূমাহ নামক বিখ্যাত কূয়াটি খরিদ করে সেটি মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ করে দেন (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৬০৬৬, সনদ হাসান; আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/১৫৯৪)। এছাড়া আরো অনেক সহিহ বর্ণনা থেকে আমরা জানি যে সাহাবীগণ পানির জন্য অনেক কষ্ট করেছেন । রাসূল (ছাঃ ) ও তার সাহাবীরা (আল্লাহ সবাই কে জান্নাতবাসি করুন ) পানির জন্য এতো কষ্ট করলেন অথচ একটি সাধারণ বালিকার থুথু নিক্ষেপে কূয়া ভরে গেল? এর মানে রাসূল (ছাঃ ) ও তার সাহাবীরা কি জানতেন না যে এই দরূদ শরীফের বরকতে তারা পানি পেতে পারে (নাউজুবিল্লাহ )।
২)
রাসূল (ছাঃ) কবর থেকে দু’হাত বের করে দিলেন:
ছূফী সাইয়িদ আহমাদ রিফা‘ঈ হজ্জের পরে মদীনায় গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কবর যিয়ারত করেন ৫৫৫ হিজরীতে এবং সেখানে গিয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রশংসায় দু’লাইন কবিতা পাঠ করেন। তখন রাসূল (ছাঃ) খুশী হয়ে তাঁর দু’হাত বের করে দিলেন ও রিফা‘ঈ তাতে চুমু খেলেন’। লেখক শায়খুল হাদীছ (?) মাওলানা যাকারিয়া এক ধাপ বাড়িয়ে বলেন যে, ঐ সময় সেখানে প্রায় ৯০,০০০ লোক উপস্থিত ছিলেন, যারা উক্ত দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। যাদের মধ্যে (‘বড় পীর’) আব্দুল কাদের জীলানী ( ৪৭০-৫৬১ হিঃ) উপস্থিত ছিলেন’।
উৎস: ফাযায়েলে হজ্জ, ২/১৩০-১৩১ পৃঃ।
[এটা মিথ্যা মনগড়া গল্প কাহিনী বা বর্ণনা যেগুলো আমাদের হাদিসের নামে বা ধর্মের নামে বা ইসলামের নামে শোনানো হয় ।]
৩)
স্বপ্নে পাওয়া রুটি!
শায়খ আবুল খায়ের আক্বত্বা‘ বলেন, আমি পাঁচদিন যাবত কিছু খেতে না পেয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠ অন্তে তাঁর মেহমান হিসাবে তাঁর কবরের নিকটে ঘুমিয়ে গেলাম। এমতাবস্থায় স্বপ্নে আমার নিকটে রাসূল (ছাঃ) তাঁর তিন সাথী আবুবকর, ওমর ও আলী (রাঃ)-কে নিয়ে এলেন। আমি উঠে দাঁড়িয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর কপালে চুমু খেলাম। অতঃপর তিনি আমাকে একটি রুটি দান করলেন। অর্ধেক রুটি খাওয়া শেষ না হ’তেই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। তখন দেখি যে, বাকী অর্ধেক রুটি আমার হাতে ধরা আছে’।
উৎস: ফাযায়েলে দরূদ শরীফ পৃঃ ৮৬ গল্প নং ১৭।
[এটা মিথ্যা মনগড়া গল্প কাহিনী বা বর্ণনা যেগুলো আমাদের হাদিসের নামে বা ধর্মের নামে বা ইসলামের নামে শোনানো হয় ।]
এগুলো সবই মিথ্যা মনগড়া গল্প কাহিনী যেগুলো আমাদের হাদিসের নামে বা ধর্মের নামে বা ইসলামের নামে শোনানো হয় । তাই এগুলো থেকে সাবধান থাকবেন ।

বিঃদ্রঃ যদি কেউ দাবি করেন বা সন্দেহ পোষণ করেন যে উপরে প্রদত্ত বক্তব্য গুলোর মধ্যে ভুল আছে বা যে কোন টা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে বা আরো বিস্তারিত জানা দরকার তাহলে কমেন্ট বক্সে বিস্তারিত জানান । 



Advertise with Anonymous Ads

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

Blog Archive

Search This Blog

LATEST IN TECH

Technology/feat-big

Facebook SDK

  • https://connect.facebook.net/en_US/sdk.js#xfbml=1&version=v9.0

Text

About Me

My Photo
RIR DEVELOPER COMPANY
View my complete profile

Main Tags

Followers

Categories

Categories

Subscribe Us

Pages