কাদিয়ানী বা আহ্‌মদীয়া সম্প্রদায় এর আকিদা বা বিশ্বাস ও চিন্তাধারা এবং ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার , ব্যাখ্যা ও দলিল বা রেফারেন্স সহ বিস্তারিত

0

Advertise with Anonymous Ads

কাদিয়ানী বা আহ্‌মদীয়া সম্প্রদায় এর আকিদা বা বিশ্বাস ও চিন্তাধারা এবং ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার , ব্যাখ্যা ও দলিল বা রেফারেন্স সহ বিস্তারিত
প্রথমে আসুন তার কিছু ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচারপূর্ণ আকীদা বা বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করি ও সেগুলো খন্ডন করি ।

(১) আল্লাহ সম্পর্কে তার আকিদাঃ মির্জা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী লিখেছেন, ‘আমি স্বপ্নে দেখেছি আমিই আল্লাহ’। (আয়েনায়ে কামালাতে মির্জা পৃ.৫৬৪,৫৬৫, কাদিয়ানী মাযহাব পৃ.৩২৮)
অথচ কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে ‘আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক, তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না। (সূরা বাকারা.২৫৫)
সুতরাং ঘুমের মধ্যে আল্লাহ হওয়ার স্বপ্ন দেখাটা তার মিথ্যুক হওয়ারই প্রমাণ বহন করে।
(২) মির্জা কাদিয়ানীর বইতে আছে ‘আল্লাহ তাকে বলেছেন শুন! হে আমার ছেলে’। (গোলাম আল বুশরা ১/৪৯, ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ পৃ.৩০৮)
অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। (সূরা ইখলাসঃ৩) আরও দেখুন সূরা নিসাঃ১৭১, সূরা ইউনুসঃ৬৮)
হাদীসে কুদসীতে আছেঃ- আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘বনী আদম আমাকে মিথ্যারোপ করেছে, অথচ তার এরূপ করার কোনো অধিকার নেই এবং সে আমাকে গালি দিয়েছে, অথচ তার এরূপ করার কোনো অধিকার নেই। আর আমাকে মিথ্যারোপ করাটা এভাবে যে, সে বলে তিনি আমাকে যেভাবে সৃষ্টি করেছেন সেভাবে কিছুতেই পুনরুত্থান করতে পারবেন না। আর আমাকে গালি দেওয়াটা এভাবে যে, সে বলে আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন অথচ আমি অমুখাপেক্ষী, আমার সন্তান নেই এবং আমি কারও সন্তান নই এবং আমার কোনো সমকক্ষ নেই। (বুখারী হাদীস নং ৪৯৭৪, নাসাঈ হাদীস নং ২০৭৮)
(৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে তার আকীদাঃ মির্জা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নিজ বইতে লিখেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ নবী নন, বরং গোলাম আহমাদ সর্বশেষ নবী। (হাকীকাতুন নবুয়ত পৃ.৮২, তিরইয়াকুল কুলূব পৃ.৩৭৯, আদইয়ানে বাতেলা আওর সিরাতে মুতাকীম পৃ.১৩২)
অথচ কুরআনে এসেছে ‘মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের কারো পিতা নন বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং সর্বশেষ নবী, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ’। সূরা আহযাবঃ৪০
এক হাদীসে এসেছে, শীঘ্রই আমার উম্মতের মাঝে ৩০ জন মিথ্যুকের আবির্ভাব ঘটবে, তারা প্রত্যেকেই অমূলক দাবি করবে যে, সে আল্লাহর নবী, অথচ আমিই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ নবী, আমার পরে কোনো নবী নেই। (আবূ দাউদ ২/২২৮, তিরমিযী ২/৪৫, বুখারী হাদীস নং ৩৫৩৫, মুসলিম হাদীস নং ২২৮৬)
(৪) সে আরো লিখেছে, ‘গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অধিক মর্যাদাবান’ (হাকীকুতুন নবুয়ত পৃ.২৭২, আরবাঈন পৃ.৩০৮, আদইয়ানে বাতেলা পৃ.১৩২, ইসলামী আকীদা পৃ. ৩০৮)
অথচ কুরআনে এসেছে, ‘সমস্ত নবীদের থেকে আল্লাহ তা‘আলা এ অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তোমরা যদি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যামানা পাও তাহলে তোমরা অবশ্যই তাঁর প্রতি ঈমান আনবে এবং তাঁকে সাহায্য করবে’ (আল ইমরানঃ৮১)
এই আয়াত দ্বারা বুঝা গেল নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল নবীদের মাঝে শ্রেষ্ঠ আর গোলাম আহমাদ তো নবী নয় এমনকি একজন সাধারণ মুসলমানও নয় অতএব তার মর্যাদা একজন মুমিন থেকেও বহুগুণ নিচে, তাহলে তার মর্যাদা নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বেশি হয় কীভাবে?
(৫) আর কুরআনে বিশের অধিক জায়গায় রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সম্বোধন করা হয়েছে কিন্তু মির্জা সাহেবের দাবি হলো এসব জায়গায় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নয় বরং তাকে সম্বোধন করা হয়েছে। (দাফেউল বালা পৃ.১৩, ইজাযে আহমাদীঃ ১১/২৯১)
এমন মিথ্যাবাদীদের সম্পর্কে কুরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহর সম্বন্ধে মিথ্যা বলতে ও তার নির্দেশ সম্বন্ধে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করতে, সে জন্য আজ তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি দেয়া হবে (সূরা আনআমঃ৯৩)
কুরআনে নবীজীকে সম্বোধন করাটা মির্জা গোলাম আহমাদ নিজের দিকে সম্পৃক্ত করে কত বড় ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছে!
(৬) ঈসা আ. ও অন্যান্য নবীদের ব্যাপারে তার আকিদাঃ
গোলাম আহমাদের বইতে আছে, ঈসা আ. এর তিনটি ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। (ইজাযে আহমাদীঃ পৃ.১৪, আদইয়ানে বাতেলা পৃ.১৩৩)
অথচ কুরআনে এসেছে ‘আল্লাহ অপেক্ষা অধিক সত্যবাদী আর কে হতে পারে? (সূরা নিসাঃ৮৭) আর নবীগণ যা কিছু বলেন আল্লাহর হুকুমেই বলেন। অতএব নবীদের ভবিষ্যদ্বাণী কখনো মিথ্যা হতে পারে না। সুতরাং কাদিয়ানীর ঈসা আ. এর তিনটি ভবিষ্যৎবাণী মিথ্যা হওয়ার দাবি করা পরোক্ষভাবে একথারই দাবি করা যে, আল্লাহই মিথ্যা বলেছেন (না‘উযুবিল্লাহ)
(৭) কাদিয়ানীর বইতে আছে, হযরত ঈসা আ. মৃত্যু বরণ করেছেন, তিনি কিয়ামতের পূর্বে আগমন করবেন না। (ইযালায়ে কুলাঁ ২/৩১১, আদইয়ানে বাতেলা পৃ.১৩৪)
অথচ কুরআনে এসেছে ‘কাফিররা বলে থাকেঃ আমরা আল্লাহর রাসূল মারইয়াম তনয় ঈসা মাসীহকে হত্যা করেছি, অথচ তারা তাকে হত্যা করেনি, কিন্তু তাদের বিভ্রম হয়েছিল। তারা নিশ্চয় এই সম্বন্ধে সংশয়যুক্ত ছিল এ সম্বন্ধে অনুমানের অনুসরণ ব্যতীত তাদের কোনো জ্ঞানই ছিল না। এটা নিশ্চিত যে, তারা তাকে হত্যা করে নাই বরং আল্লাহ তাকে আসমানে নিজের কাছে উঠিয়ে নিয়েছেন এবং আল্লাহ যবরদস্ত শক্তিমান ও হিকমাতওয়ালা’। (সূরা নিসাঃ১৫৭)
হাদীসে এসেছে, নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অচিরেই তোমাদের মধ্যে মারইয়াম তনয় ঈসা আ. আসবে ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ রূপে…. (বুখারী হাদীস নং ৩৪৪৮)
(৮) কাদিয়ানীর বইতে আছে, ‘মির্জা সাহেব বনী ইসরাইলের নবীদের চেয়ে উত্তম’ (দাফেউল বালা পৃ.২০)
অথচ সর্ব সম্মত আকীদা হলঃ কোন মুমিন চাই সে যত বড় বুযুর্গ হোক না কেন কোনো নবীর চেয়ে অধিক মর্যাদাবান হতে পারে না। (শরহে আকায়েদ পৃ.১৬১) তাহলে মির্জা সাহেব যিনি সাধারণ মুমিনের সমান নয়, তিনি কীভাবে বনী ইসরাঈলের নবীদের ঊর্ধ্বে মর্যাদা সম্পন্ন হতে পারেন?
(৯) ফেরেশতা সম্পর্কে আকীদাঃ
মির্জার বইতে আছে ‘ফেরেশতা বলতে কিছু নেই’ তাওযীহে মারাম পৃ. ২৯, আদইয়ানে বাতেলা পৃ. ১৩৩) অথচ কুরআনে এসেছে ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, নিশ্চয় তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই ফেরেশতাগণ এবং জ্ঞানীগণও….. (আল ইমরানঃ ১৮, সূরা বাকারা.৩০,১৬১, সূরা নিসাঃ৯৭) ঈমানে মুফাস্সালের মধ্যে দ্বিতীয় নাম্বারে ফেরেশতাদের উপর ঈমান আনার ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া চারজন বড় বড় ফেরেশতার নাম কার অজানা? সুতরাং একমাত্র বেঈমান ব্যতীত অন্য কেউই ফেরেশতাদেরকে অস্বীকার করতে পারে না।
(১০)কাদিয়ানীর বইতে আছে ‘জিহাদের হুকুম রহিত হয়ে গেছে।’ (হাশিয়ায়ে আরবাঈন পৃ.১৫৪, আদইয়ানে বাতেলা পৃ.১৩৩)
অথচ কুরআনে এসেছে ‘তোমরা তাদের (কাফিরদের) বিরুদ্ধে জিহাদ করতে থাকো যতক্ষণ না ফিৎনা (কুফুরী কর্মকান্ড) দূরীভূত না হয়..’ (সূরা আনফালঃ৩৯, আরো দেখুন, সূরা আন কাবূতঃ ৬৯, হুজুরাতঃ১৫, ফুরকানঃ৫২)
(১১) হাশর সম্বন্ধে কাদিয়ানীর বিশ্বাসঃ
মির্জা বলেন, ‘মৃত্যুর পর হাশরের ময়দানে কেউ একত্র হবে না। বরং সরাসরি জান্নাত বা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (ইযালায়ে আহকামে কুলাঁ পৃ.১৪৪, আদইয়ানে বাতেলা পৃ.১৩৩)
অথচ আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ করো যেদিন তাদের সকলকে একত্র করবো। মুশরিকদের বলবো, যাদেরকে তোমরা আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়? (সূরা আনআমঃ ২২, আরো দেখুন, কাহাফঃ৪৭, ফাতিহা আয়াতঃ ৩, এছাড়া বহু হাদীসে হাশরের ময়দানের আলোচনা আছে যেমন বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড বাবুস সুজূদ)
(১২) মির্জার বইতে আছে, ‘যে ব্যক্তি মির্জার নবুওয়াত মানে না সে জাহান্নামী কাফের’ (রবয়ীন পৃ.৪. আদইয়ানে বাতেলা পৃ. ১৩২)
অথচ সমগ্র দুনিয়ার উলামায়ে কেরামের ফাতাওয়া হলো যে, যে ব্যক্তি মির্জাকে নবী মানবে সে কাফের।
(১৩) মির্জা নিজে মুজাদ্দিদ হওয়ার দাবি করেছেন। (আয়েনায়ে কামালাতে ইসলাম পৃ. ৪২৩/ (ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদঃ৩২৬)
অথচ সে ব্যক্তি হেদায়াত ও ঈমান বঞ্চিত এক বদ নসীব ও হাজারো মানুষকে গোমরাহ করণেওয়ালা।
(১৪) তারা উপরন্তু ২০ পারার মত কুরআন নাযিল হওয়ার দাবী করেছে। (হাকীকাতুল ওহী পৃ.৩৯১/ইসলামী আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদঃ৩২৭)
অথচ নবী বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া কারো উপর আসমানী ওহী নাযিল হতে পারে না, হ্যাঁ, ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক হয়তো তার উপর কোন হুকুম হয়েছিল সেটাকে তিনি ওহী মনে করেছেন।
(১৫) তিনি নিজেকে হিন্দুদের শ্রী কৃষ্ণ অবতার হওয়ার দাবী করেছেন। (কাদিয়ানী মাযহাব পৃ.৪৩২/ ইসলামী আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদঃ৩২৮) নাঊজুবিল্লাহ, এর দ্বারা তার কাফির হওয়া স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।
(১৬) তিনি নিজেকে যুলকারনাঈন হওয়ার হাস্যকর দাবি করেছেন। (বারাহীনে আহমদিয়া পৃ.৯৭/ ইসলামী আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ পৃ.৩২৯)
অথচ কুরআনে বর্ণিত জুলকারনাইন বহু পূর্বে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে ইন্তিকাল করেছেন। এছাড়াও তার আরও অসংখ্য ভ্রান্ত আক্বীদা রয়েছে।
(১৭)উল্লেখ্য যে, তিনি মিথ্যা নবী না হলে বেইজ্জতির মৃত্যু কামনা করতেন না এবং সেটি তার জীবনে বাস্তবায়িতও হতো না। এটাও তার মিথ্যুক হওয়ার জ্বলন্ত প্রমাণ। এ ছাড়া মুহাম্মাদী বেগম সহ বিভিন্ন ব্যাপারে তিনি অসংখ্য ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যার সবগুলি পরবর্তীতে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। অথচ সত্য নবীদের কোন একটা ওয়াদা অঙ্গিকারও মিথ্যা প্রমাণিত হয় নাই।

আরো কয়েকটি তাদের ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার নিচে উল্লেখ করা হলো

(১৮) মির্যা বশীর আহমদ লিখেছে-
“মসীহ মওউদ [মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী] খোদ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যিনি ইসলাম প্রচারের জন্য দ্বিতীয়বার আগমণ করেছেন। এ কারণে আমাদের [কাদিয়ানীদের] কোন নতুন কালিমার প্রয়োজন নেই। হ্যাঁ, যদি মুহাম্মদ রাসূলের স্থলে যদি অন্য কেউ আসতো, তাহলে প্রয়োজন ছিল। {কালিমাতুল ফসল-১৫৮}
(১৯) কাদিয়ানীদের মতে ১৪তম শতাব্দীর সমস্ত মানুষের রাসূল হল গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। {তাযকিরা-৩৬০}
(২০)কদিয়ানীদের মতে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী রাহমাতুল্লিল আলামীন। {তাযকিরা-৮৩}
(২১) কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, খাতামুন নবী মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী।
মির্যার পত্রিকা “আলফজল”, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৯১৫ ঈসাব্দের সংখ্যায় লিখেছে-
“এ মুসলমানরা কি মুখ নিয়ে অন্য ধর্মের মুকাবিলায় নিজের ধর্মকে পেশ করতে পারে, যতক্ষণ না তারা মসীহ মাওউদ [গোলাম আহমদ কাদিয়ানী] এর সত্যতার উপর ঈমান না রাখে। যিনিই মূলত ছিলেন শেষ রাসূল। তিনিই আল্লাহর ওয়াদা অনুপাতে দ্বিতীয়বার শেষ জমানায় আগমণ করেছেন। তিনিই [মির্যা] প্রথম ও শেষ জমানার গর্ব। যিনি আজ থেকে তেরশত বছর আগে রাহমাতাল্লিল আলামীন হয়ে এসেছিলেন। {কাদিয়ানী মাযহাব-২৬৪}
(২২) কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, আসমান জমিন এবং সমস্ত সৃষ্টিজীব শুধুমাত্র মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর কারণেই সৃষ্টি করা হয়েছে। {হাকিকাতুল ওহী-৯৯}
(২৩) কাদিয়ানীদের আকিদা হল, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী আসমানী মর্যাদা সমস্ত নবীদের থেকে উপরে। {হাকিকাতুল ওহী-৮৯}
(২৪) কাদিয়ানীদের আকিদা হল, রাসূল সাঃ এর জমানা আত্মিক উন্নতির জন্য প্রথম পদক্ষেপ ছিল, আর মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর সময় তা পরিপূর্ণ বিকশিত হয়ে পড়ে। {খুতুবাতে ইলহামিয়া-১৭৭}
(২৫) কাদিয়ানীদের আকিদা হল, রাসূল সাঃ এর ছোট বিজয় অর্জিত হয়েছে, আর বড় বিজয় অর্জিত হয়েছে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর। {খুতুবাতে ইলহামিয়া-১৯৩}
(২৬) কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, রাসূল সাঃ এর জমানায় ইসলাম প্রথমে রাতের চাদের মত [আলোহীন] ছিল। আর মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর জমানায় চতুর্দশী চাদের মত আলোকিত ছিল। {খুতুবাতে ইলহামিয়া-১৮৪}
(২৭) কাদিয়ানীদের আকিদা হল, রাসূল সাঃ এর মুজিজা ছিল মাত্র তিন হাজার [তুহফায়ে গুলারিয়া-৬৩] আর মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর মুজিজা ছিল তিন লাখেরও উপরে। {হাকীকাতুল ওহী-৬৭}
(২৮) কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী রূহানী শক্তি রাসূল সাঃ থেকেও বেশি ও পূর্ণ ছিল। [নাউজুবিল্লাহ] {খুতুবাতে ইলহামিয়া-১৮১}
(২৯) কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী আল্লাহর সন্তান সমতুল্য। [নাউজুবিল্লাহ] {তাযকিরাহ-৪১২}
(৩০) কাদিয়ানীদের আকিদা হল, মির্যা কাদিয়ানী আল্লাহ তাআলার অবতার। {তাযকিরাহ-৫৯৬}
(৩১) কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, মির্যা কাদিয়ানী আল্লাহর রূহ। {তাযকিরাহ-৭৪১}
(৩২) কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী যা বলে তাই হয়ে যায়। {তাযকিরাহ-৫২৫}
(৩৩) কাদিয়ানীদের আকিদা হল, মির্যা কাদিয়ানী খোদার অন্তর্ভূক্ত, আর খোদা কাদিয়ানীর অন্তর্ভূক্ত। {আখবারে বদর, ২৫শে অক্টোবর, ১৯০৬ ঈসাব্দ}
(৩৪) কাদিয়ানীদের মতে বর্তমানে শুধু রাসূল সাঃ এর অনুসরণ দ্বারা মুক্তি পাওয়া যাবে না, বরং মির্যা কাদিয়ানীরও অনুসরণ করতে হবে। {আরবাঈন-৭}
(৩৫) কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, যারা মির্যার অনুসরণ করবে না, তারা আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর নাফরমান এবং জাহান্নামী। {ইশতিহারে মিয়ারুল আখয়ার, ২৫মে মে, ১৯০০ ঈসাব্দ}
(৩৬) কাদিয়ানীর আকিদা হল, রাসূল সাঃ এর সামনে দাজ্জাল, ঈসা বিন মারইয়াম, ইয়াজুজ, মাজুজ, দাব্বাতুল আরদ ইত্যাদির আসল হাকিকত প্রকাশিত হয়নি, বরং মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর সামনে এ সকল বিষয়ের হাকিকত প্রকাশিত হয়েছে। {ইযালায়ে আওহাম-৬৯১}
(৩৭) কাদিয়ানীদের আকিদা হল, রাসূল সাঃ এর মুজিজা স্বরূপ শুধু চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল, আর মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর মুজিজা স্বরূপ চন্দ্র সূর্য উভয়টির গ্রহণ হয়েছিল। {ইজাজে আহমদী-৭১}

 প্রমাণস্বরূপ তাদের আরো কিছু  কুফরি আকিদা বা বিশ্বাস বা চিন্তাধারা ও ভুল ভ্রান্তি বা মিথ্যাচার জেনে নিই ।

(৩৮) তারা বিশ্বাস করে যে, স্বয়ং আল্লাহ্ ছালাত আদায় করেন, ছওম পালন করেন, ঘুমান, জাগ্রত থাকেন, লিখেন, সঠিক করেন, ভুল করেন, স্ত্রীর সাথে মিলিত হন ইত্যাদি (পৃঃ ৯৭)।
(৩৯) তারা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে শেষনবী বলে স্বীকার করে না (পৃঃ ১০২)।
(৪০) তারা বিশ্বাস করে যে, গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নবী ও রাসূলগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ (পৃঃ ১০৩, ১০৮)।
(৪১) তারা বিশ্বাস করে যে, গোলাম আহমাদের নিকট জিবরীল (আঃ) অহী নিয়ে আগমন করতেন (পৃঃ ১০৬)।
(৪২) যারা গোলাম আহমাদকে বিশ্বাস করে না তাদেরকে তারা ‘কাফির’ আখ্যা দিয়ে থাকে এবং তাদেরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী মনে করে (পৃঃ ১২২)।
(৪৩) তারা মুসলিমদের পিছনে ছালাত আদায় করাকে জায়েয মনে করে না এবং মুসলমানদের সাথে বিবাহ-শাদী হারাম মনে করে ও তাদের কবরস্থানে মুসলমানদের দাফন নিষিদ্ধ বলে’ (পৃঃ ৩৪, ৩৬-৩৭)।
(৪৪) বৃটিশ প্রভুদের খুশী করার জন্য গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী তার বায়‘আত নামায় বলেন, যে ব্যক্তি ইংরেজ হুকুমতের আনুগত্য করে না, বরং তাদের বিরুদ্ধে মিছিল করে, সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়’ (পৃঃ ১২১-২২)। ইংরেজরা সবচেয়ে ভয় পায় মুসলমানদের জিহাদী জাযবাকে। তাই তিনি লেখেন, তোমরা এখন থেকে জিহাদের চিন্তা বাদ দাও। কেননা দ্বীনের জন্য যুদ্ধ হারাম হয়ে গেছে। এখন ইমাম ও মসীহ এসে গেছেন এবং আসমান থেকে আল্লাহর নূর অবতরণ করেছেন। অতএব কোন জিহাদ নেই। সুতরাং যারা এখন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে, তারা আল্লাহর শত্রু’ (পৃঃ ১১৯)।
(৪৫) তাঁর লিখিত বই ‘আল-কিতাবুল মুবীন’-কে তারা কুরআনের ন্যায় মনে করে, যা বিশ পারায় সমাপ্ত এবং এর বিরোধী সবকিছুকে তারা বাতিল গণ্য করে (পৃঃ ১০৮, ১১৭)।
(৪৬) তারা কাদিয়ান শহরকে মক্কা-মদীনার চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মনে করে এবং ঐ শহরের মাটিকে তারা ‘হারাম শরীফ’ বলে (পৃঃ ১১১-১২)। (১০) তারা তাদের দ্বীনকে পৃথক ও নতুন পরিপূর্ণ দ্বীন মনে করে। গোলাম আহমদের সাথীদেরকে ‘ছাহাবা’ এবং তার অনুসারীদের নতুন ‘উম্মত’ বলে (পৃঃ ১১০)। (১১) কাদিয়ানে তাদের বার্ষিক সম্মেলনকে ‘হজ্জ’ মনে করে (১১৬)।
(৪৭) কাদিয়ানীরা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ্‌ রোযা রাখেন, নামায পড়েন, ঘুমান, ঘুম থেকে জাগেন, লেখেন, ভুল করেন, সহবাস করেন (তারা যা দাবী করে তা থেকে আল্লাহ্‌ বহু উর্ধ্বে)।
(৪৮) তারা দাবী করে যে, তাদের উপাস্য ইংরেজ। যেহেতু তিনি তাকে ইংরেজী ভাষায় সম্বোধন করেন।
(৪৯) কাদিয়ানীরা বিশ্বাস করে যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে নবুয়তের ধারা সমাপ্ত হয়নি; বরং জারী আছে। আল্লাহ্‌ জরুরতের ভিত্তিতে রাসূল পাঠিয়ে থাকেন। গোলাম আহমাদ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী।
(৫০) তারা বিশ্বাস করে যে, গোলাম আহমাদের উপর জিব্রাইল নাযিল হত ও তার কাছে ওহী (প্রত্যাদেশ) পাঠাত। তার কাছে প্রেরিত ওহিগুলো কুরআনের মত।
(৫১) তারা বলে: প্রতিশ্রুত মসীহ (গোলাম) যে কুরআন পেশ করেছেন সেটা ছাড়া আর কোন কুরআন নেই এবং তার শিক্ষার আলোকে যে হাদিস সেটা ছাড়া কোন হাদিস নেই এবং গোলাম আহমাদের কর্তৃত্ব ছাড়া কোন নবী নেই।
(৫২) তারা বিশ্বাস করে যে, তাদের কিতাব নাযিলকৃত। সে কিতাবের নাম হচ্ছে- আল-কিতাবুল মুবীন”। সেটি কুরআন নয়।
(৫৩) তারা বিশ্বাস করে যে, তারা আলাদা নতুন এক ধর্ম ও নতুন এক শরিয়তের অনুসারী এবং গোলামের সঙ্গিগণ সাহাবীদের মত।
(৫৪) তারা বিশ্বাস করে যে, কাদিয়ান হচ্ছে মদিনা মোনাওয়ারা ও মক্কা মুকাররমার মত। বরং এ দুটো শহরের চেয়ে উত্তম। কাদিয়ানের ভূমি হারাম (সম্মানিত ও সংরক্ষিত)। সেটা তাদের কিবলা ও হজ্জ পালনের স্থান।
(৫৫) তারা জিহাদের আকিদা বাতিল করার আহ্বান জানায়। তারা ইংরেজ শাসনের অন্ধ আনুগত্য করার আহ্বান জানায়। কেননা তাদের ধারণায় কুরআনের দলিল অনুযায়ী ইংরেজরা উলুল আমর (নেতা)।
(৫৬) তাদের মতে কাদিয়ানী ধর্ম গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রত্যেক মুসলিম কাফের। এমনকি যে ব্যক্তি কাদিয়ানী ছাড়া অন্যের কাছে বিয়ে দেয় বা বিয়ে করে সেও কাফের।
(৫৬) তারা মদ, আফিম, মাদকদ্রব্য ও নেশাজাতীয় জিনিসকে বৈধ মনে করে।

এখন আসুন মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ও তার জামাত এর আরো কিছু স্পষ্ট ভুল/মিথ্যাচার প্রমাণ সহ দেখি
প্রথম প্রমাণ:

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী বলেন-
১. সত্য খোদা তিনি যিনি কাদিয়ানে নিজের রাসূলকে পাঠিয়েছেন। (রুহানী খাযায়েন ১৮/২৩১)
২. আমার দাবি আমি নবী ও রাসূল। (রুহানী খাযায়েন ১৮/২১১)
৩. আমি ঐ খোদার কসম করে বলছি যার হাতে আমার জান, তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন এবং নবী নাম দিয়েছেন। (রুহানী খাযায়েন ২২/৫০৩)
কাদিয়ানী এমন একটা প্রতারক গোষ্ঠি যারা যা বলে তা বিশ্বাস করে না আর যা বিশ্বাস করে তা বলে না। এজন্য মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর নবী দাবি করার বিষয়টি তারা প্রকাশ করে না, যা অনেক মুসলমানকে তাদের ব্যাপারে ধোঁকায় ফেলেছে।

দ্বিতীয় প্রমাণ:

হযরত ঈসা আ. পিতা ছাড়া জন্ম হওয়ার বিশ্বাসকে অস্বীকার করার কারণে মির্যা কাদিয়ানী ও তার জামাতকে কাফের বলা হয়। কারণ  কুরআন ও সুন্নাহর বর্ণনা ও ১৪শ বছর যাবৎ ইসলামের অকাট্য বিশ্বাস হযরত ঈসা আ. কে আল্লাহ তাআলা পিতা ছাড়া সৃষ্টি করেছেন। মির্যা কাদিয়ানী এই অকাট্য বিশ্বাস কে অস্বীকার করে বলেছেন, হযরত মারয়ামের পুত্র ঈসা তার পিতা ইউসুফের সাথে বাইশ বছর পর্যন্ত কাঠের কাজ করেছেন। (রুহানী খাযায়েন ৩/২৫৪-২৫৫) অন্য এক জায়গায় বলেন, ঈসা আ.-এর চার ভাই দুই বোন ছিল। তারা সকলেই ঈসা আ. এর আপন ভাই বোন ছিল। অর্থাৎ ইউসুফ ও মারয়ামের সন্তান ছিল। (রুহানী খাযায়েন ১৯/১৮)

তৃতীয় প্রমাণ :

কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামের চৌদ্দশত বছর ধরে এ বিশ্বাস চলে আসছে যে, ঈসা আ. আসমানে চলে গেছেন। কেয়ামতের পূর্বে আবার আসমান থেকেই নাযিল হবেন। মির্যা কাদিয়ানী এই বিশ্বাসকে অস্বীকার করে নিজেই সেই ঈসা হওয়ার দাবি করল। আর বললো, ঈসা আ. মারা গেছেন। কাশ্মিরে তার কবর। দেখুন তার বক্তব্য: “ঈসা আ. মারা যায়নি-এটা বলা মস্তবড় শিরক এবং নেকীকে ধ্বংসকারী এবং বিবেক বহির্ভূত।” (রুহানী খাযায়েন ২২/৬৬০) “ঈসা আ. গোপনে জমীনের উপর দিয়ে পালিয়ে কাশ্মির চলে আসেন এবং সেখানেই মারা যান। তোমরা শুনেছ, শ্রীনগর খান ইয়ার মহল্লায় তার কবর।” (রুহানী খাযায়েন ১৯/৫৭-৫৮)

চতুর্থ প্রমাণ:

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননা মির্যা কাদিয়ানী ও তার অনুসারীরা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননা মূলক যেসব জঘন্য বক্তব্য তার বইতে লিখেছেন তার কিছু চিত্র দেখুন:

১. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীরা খ্রিষ্টানদের হাতের পানীয় খেত অথচ প্রসিদ্ধ আছে যে, তাতে শুকরের চর্বি থাকত। (মির্যা কাদিয়ানীর চিঠি, আল-ফযল ২২-২-১২২৪)
২. যিল্লী (ছায়া) নবুওয়াত মসীহে মওউদের (মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী) পা’কে পিছনে নেয়নি; বরং সামনে বাড়িয়েছে এবং এত সামনে বাড়িয়েছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাঁধ বরাবর এনে দাঁড় করিয়েছে। (কালিমাতুল ফসল১১৩, মির্যা কাদিয়ানীর পুত্রকৃত)
৩. এটা সম্পূর্ণ বাস্তবধর্মী একটা কথা যে, প্রত্যেক ব্যক্তিই (আধ্যাত্মিকতার পথে) উন্নতি করতে পারে এবং উচ্চ আসনে সমাসীন হতে পারে। এমনকি মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও সামনে বেড়ে যেতে পারে-নাউজুবিল্লাহ। (আল ফযল ১৭-৭-১৯২২, এটি কাদিয়ানীদের নিজস্ব পত্রিকা)
৪. মুহাম্মদ পুনরায় আগমন করেছেন আমাদের মধ্যে এবং পূর্বের থেকে নিজ মহিমায় আরও বেশি অগ্রসর হয়েছেন। যে পূর্ণাঙ্গ মুহাম্মদকে দেখতে চাও সে কাদিয়ানে গোলাম আহমদকে দেখে যাও। (বদর, কাদিয়ান ২৫-১০-১৯০৬) এই বক্তব্যে মির্যা সাহেবকে পূর্ণাঙ্গ মুহাম্মদ আর রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অপূর্ণাঙ্গ মুহাম্মদ বলে চরম অবমাননা করা হয়েছে।
৫. মির্যা সাহেব নিজে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেও দাবি করতেন। (রুহানী খাযায়েন ১৮/২০৭)
৬. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি। আমিই পূর্ণ করেছি। (রুহানী খাযায়েন ১৭/২৬৩ দ্র. টিকা) এটা মির্যা কাদিয়ানীর উক্তি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে এমন কুৎসিত অবমাননাকর বক্তব্য সে তার বই ও পত্র-পত্রিকায় লিখে গেছে। কোন নবীর অবমাননা করা কুফুরী। কারণ আল্লাহ তাদেরকে সৃষ্টির মধ্যে সর্বাধিক সম্মানিত করেছেন। এই অবমাননার কারণে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ও তার জামাতকে কাফের মনে করা হয়।

অন্যান্য নবীদের ব্যাপারে অবমাননাকর বক্তব্য:

অন্যান্য নবীদের সাথেও অবমাননাকর আচরণ করে তিনি আলোচিত হয়েছেন এবং এটাও একটা কুফুরী। হযরত ঈসা আ. সম্পর্কে বলেন⎯
১. ইউরোপের লোকদের মদ এইভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার কারণ হল, হযরত ঈসা আ. মদ পান করতেন। তা কোন রোগের কারণে অথবা পুরাতন অভ্যাসের কারণে। (রুহানী খাযায়েন ১৯/৭১)
২. স্মরণ থাকা দরকার যে, তার (ঈসা আ.) কোন এক পর্যায়ের মিথ্যা বলার অভ্যাস ছিল। (রুহানী খাযায়েন ১১/২৮৯)
৩. দুনিয়াতে নবীগণ কম আসেননি। তবে আমি কারো চেয়ে জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় কম নই। (রুহানী খাযায়েন ১৮/৪৭৭) এই হল নবীদের মত পবিত্রাত্মাদের সাথে তার আচরণ।

এছাড়াও তাদের বহু নিকৃষ্ট আক্বীদা রয়েছে (বিস্তারিত দ্রঃ ইহসান ইলাহী যাহীর, আল-ক্বাদিয়ানিয়াহ : দিরাসাত ও তাহলীল (রিয়াদ : ১৪০৪/১৯৮৪), পৃঃ ৯৪-১২৩; ১৫৪-৫৯)।
এরকম অসংখ্য কুফরী আকিদায় ভরপুর কাদিয়ানী ধর্মাবলম্বীদের।



Advertise with Anonymous Ads

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

Blog Archive

Search This Blog

LATEST IN TECH

Technology/feat-big

Facebook SDK

  • https://connect.facebook.net/en_US/sdk.js#xfbml=1&version=v9.0

Text

About Me

My Photo
RIR DEVELOPER COMPANY
View my complete profile

Main Tags

Followers

Categories

Categories

Subscribe Us

Pages