প্রচলিত সিয়াম বা রোজার নিয়্যাত মিথ্যা বা ভুল , বিস্তারিত ব্যাখ্যা সহ

0

Advertise with Anonymous Ads

প্রচলিত সিয়াম বা রোজার নিয়্যাত মিথ্যা বা ভুল , বিস্তারিত ব্যাখ্যা সহ

প্রত্যক কাজের ফলাফল নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল – [বুখারি শরিফ : ১, মুসলিম শরিফ: ১৯০৭]
“আপনি বলুন, তোমরা তোমাদের মনের কথা গোপন রাখ অথবা প্রকাশ কর, তা সবই আল্লাহ জানেন।
(সূরা আলে-ইমরান : ২৯)
সুতরাং নিয়্যাত করা ফরজ। আর তা অন্তরে করতে হয়। নিয়তের উপরই আপনার যেকোনো ইবাদত আল্লাহ্ কবুল করবেন। মনে রাখবেন রাসূল (ছঃ) নিয়্যাত করতে বলেছেন , নিয়্যাত পড়তে বলেন নাই । আর যে কাজ রাসূল(ছঃ) এর সুন্নাহ দিয়ে প্রমাণিত নয় সেটা আমল/ইবাদাতের উদ্দেশ্যে করলে বিদআত হবে । আর যেহুতু বিদআত করলে রাসুল (ছঃ) কে অপমান করা হয় তাই বিদআতি জাহান্নামে যাবে ।
আর প্রতিটি বিদআতই ভ্রুষ্টতা এবং সকল ভ্রুষ্টতা জাহান্নামে যাবে। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল জুমুআ, নং-১৪৩৫)
যাই হোক মূল কথায় আসি ।
এখন আসুন সমাজে প্রচলিত সেহরির নিয়্যাত এর দোয়া কে একটু যাচাই করি ।
প্রথমেই বলে রাখি , আমাদের সমাজে প্রচলিত সেহরির নিয়্যাত এর দোয়া সম্পূর্ণ বিদআত । কারণ রাসূল(ছঃ) থেকে এর কোন প্রমান নাই [যেহুতু আলহামদুলিল্লাহ অনেক গবেষণা করে পোষ্ট করা তাই কিয়ামত পর্যন্ত সময় থাকলো পারলে কেউ প্রমাণ করে দেখাক ]।
এখন আসুন অর্থের দিকে দেখি ।
সেহরির বানোয়াট/মিথ্যা নিয়্যাত এর দোয়া:
আরবি নিয়ত-” নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাস সামীউল আলীম!!
বাংলা অর্থ :- হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য #আগামীকালের_রমাদ্বান
এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।
এখানে খেয়াল করুন , “গদাম” শব্দের অর্থ “আগামীকাল” , আপনি যেকোন arabic dictionary দেখতে পারেন ।
এখন চিন্তা করুন এটা আমরা কখন বলি । এটা বলি সেহরি খাওয়ার পর যেটা আনুমানিক সর্বনিন্ম রাত ৩ টার পর [যেটা অবশ্যই রাত ১২ টার পরে ]।
আবার আরবি মাসের দিন বা তারিখ গননা শুরু হয় সন্ধা (মাগরীব) হতে, সে হিসেবে “আগামী কালের রমযানের” এই বাক্য কোন ক্রমেই সঠিক নয়, হবে “আজকের রমযানের”। এই হিসেবে এই নিয়ত এমনি বাতিল হয়ে যায়।
আজ ফজরের পূর্বে বা সূর্য উদয়ের পূর্বে রোজা থেকে যদি সাহরীর সময় বলি আগামীকাল রোজা থাকবো–এটা কেমন মিথ্যাচার আল্লাহর সাথে। [মূর্খতার ও একটা সীমা থাকা দরকার ]
আরো ভয়ঙ্কর বিষয় হলো , ধরুন আজ শেষ রমজান ,মানে আজ শেষ রোজা , এখন শেষ সেহরি খেয়ে আপনি এই নিয়্যাত পড়লেন । আর যেহুতু এই নিয়্যাত এর মানে আগামিকাল এর জন্য রোজা/সাওম রাখার নিয়্যাত তাই আপনি ঈদের দিনে রোজা রাখার নিয়্যাত করলেন । আর ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম ।
আবু সাঈদ খুদরী রা: থেকে বর্নীত, রাসুল (সাঃ) রোযার ঈদের দিন এবং কুরবানীর ঈদের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন (সহীহ সহীহ বুখারী ৩য় খন্ড/১৮৬৭, ১৮৬৮ ও সহীহ মুসলিম ৩য় খন্ড) ।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
“আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দীন হিসাবে গ্রহণ করে না”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ২৯]
যাই হোক , পরিশেষে বলতে চাই এসব বানোয়াট সেহরির নিয়্যাত এর দোয়া থেকে সাবধান থাকবেন ।
এখন আসুন জেনে নিই সহীহ সুন্নাহ থেকে আসলে সেহরির সময় কি দোয়া বা কিভাবে নিয়্যাত করা দরকার ।
সেহরির নিয়্যাত এর নিয়ম :
আগেই বলেছি নিয়ত করতে হয় অন্তরে । আপনি যদি রমজান মাসের শুরুতে অন্তরে নিয়্যাত করেন যে পুরো মাস রোজা থাকবেন তাহলে তখনই আপনার নিয়্যাত হয়ে গেছে অথবা আপনি যেদিন রোজা থাকবেন তার আগের দিন তো আপনি মনে মনে একটা প্রস্তুতি নেন বা মনে মনে ভাবেন । এটাই আসলে নিয়্যাত। সুতরাং আলাদা ভাবে কিছু পড়ে নিয়্যাত করার দরকার নাই।

বিঃদ্রঃ যদি কেউ দাবি করেন বা সন্দেহ পোষণ করেন যে উপরে প্রদত্ত বক্তব্য গুলোর মধ্যে ভুল আছে বা যে কোন টা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে বা আরো বিস্তারিত জানা দরকার তাহলে কমেন্ট বক্সে বিস্তারিত জানান । 



Advertise with Anonymous Ads

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

Blog Archive

Search This Blog

LATEST IN TECH

Technology/feat-big

Facebook SDK

  • https://connect.facebook.net/en_US/sdk.js#xfbml=1&version=v9.0

Text

About Me

My Photo
RIR DEVELOPER COMPANY
View my complete profile

Main Tags

Followers

Categories

Categories

Subscribe Us

Pages